২৪ এর স্বাধীনতা কে, বি সুমন
শুরুটা ছিল অতি সামান্য ছোট্ট একটা ইস্যু
করতে হবে কোর্টা সংস্কার নয়তো বেশি কিছু
দাবিতা তারা পারতো নিতে সহজ ভাবে মেনে
কিন্তু তারা তা না করে ছাত্রদের দিল রাজাকার বানিয়ে
ক্ষিপ্ত হলো শুনে ছাত্রছাত্রীরা নিল না তা মেনে
শুরু হলো রাজপথে আন্দোলন, রাজাকার বলাতে
আন্দোলন পন্ড করতে তখন সরকার করলো লাঠিচার্জ
তাতেও দমলনা ছাত্ররা আন্দোলন বাড়ালো আরো একধাপ
আন্দোলনের তীর্বতা যখন আরো বেড়ে গেল
সরকার বললো পুলিশ বাহিনীকে এবার গুলি করো।
আবু সাঈদ বুক পেতে দাড়াঁলো বললো গুলি করো!
নির্দোষ সাঈদের বুকে পুলিশ, সত্যিই বুলেট ভরে দিল।
সাহসী বাংলার ছেলে হারিয়ে গেল বাংলার বুক থেকে
শুরু হলো নতুন যুদ্ধ বাংলাদেশে বীর সাঈদকে হারিয়ে।
সারা বাংলাদেশ থমথমে ভাব, নেট সংযোগ বন্ধ
বীর শহীদদের রক্তে তখন সারা রাজপথ গন্ধ।
হত্যা, খুন, গুম, নির্যাতনের মাত্রা গেল বেড়ে
নেট বন্ধ করে সেই চিত্র ধামাচাপা দিয়ে তারা
আগামী দিনের ভবিষৎকে করতে চাইলো ধ্বংশ।
এ কেমন বাংলাদেশ ? বিবেক যেন আজ অন্ধ।
মুগ্ধ, আদনান, সহ বীর ছেলেরাসহ আরো নিরীহ শিশুরা দিল প্রাণ
রক্তপিপাসু সরকারের তখনও ছাত্রদের প্রাণ নিতে বড্ড পরিকর।
ক্ষিপ্ত হলো সাধারণ মানুষ, পারলো আর থাকতে ঘরে
বেড়িয়ে এলো বিবেকবান রাস্তায়-রাস্তায়, পথে পথে।
সরকার দেখলো খুবই মুশকিল কি যে এবার করি,
সেনাবাহিনী ডাকলো তাইতো, সেনাবাহিনীই শেষ গুটি
নিবিচারে মারতে হবে মানুষ করতে হবে আন্দোলন ঠান্ডা
এমন হুকুম পেয়ে সেনাবাহিনীর মাঝে চললো সংশয়ের দান্ডা।
সেনাবাহিনীর মাঝে হলো দুভাগ দেশ চরম বিপাকে
একপক্ষ গেল সরকারের দলে এক পক্ষ ছাত্র জনতার দিকে
শুরু হলো অতি মানবিক বাংলাদেশ যেন এক যুদ্ধ ক্ষেত্র
সব দাবী শেষ করে তখন বাংলাদেশ একদাবীতে সিগ্ধ
এক দফা এক দাবী সরকারের পদত্যাগ ¯েøাগানে সারাদেশ মুখরিত
চল চল ঢাকায় চল সংসদ ভবন করতে হবে বন্ধ
সরকার দেখলো বিপদ এবার কি করা যায়
ঢাকায় আসার পথ বন্ধ করতে তাইতো লকডাউন ডাকতে হয়
৩৬ শে জুলাই সকাল থেকে নেট বন্ধ, লকডাউন সারাদেশ
ঢাকার রাজপথে তখন মানুষের সমারোহ, কারো ভয়ডর কিছু নাই।
সেনাবাহিনী প্রধান দেখলো সমস্যা আর উপায় নাই
শেখ হাসিনাকে বললো তখন পদত্যাগ করে দেশ ছাড়
স্বৈরাচারী হাসিনা তখনো হুমুক করে বলে গুলি করে সব মারো
সেনাবাহিনী প্রধান বলে সম্ভব না বাঁচতে চাইলে দেশ ছাড়ো
উপায়ন্ত না পেয়ে হেলিকপ্তারে করে দেশের সম্পদ নিয়ে
পালিয়ে গেল স্বৈরাচারী সরকার প্রাণ বাাঁচিয়ে, আপন দেশ ছেড়ে।
কি থেকে যে কি হলো মাথায় আসে না
ছোট ইস্যু থেকে ক্ষমতার রানী দেশ ছাড়লো সবই তার ইচ্ছা
স্বস্থির এক নিশ্বাস ছাড়লো সারা বাংলাদেশ।
২৪ শের স্বাধীনতার সুখ পেল পুরা বাংলাদেশ।
রাস্তায় রাস্তায় মোড়ে মোড়ে চললো আনন্দ মিছিল
এ যে কি আনন্দ লেখানীর বুঝানোর ভাষা শেষ।
আনন্দ মিছিল, মিষ্টি মুখে মুখরিত দেশ
লুৎপাত সহ স্বৈরাচীর সরকারের চেলাদের পালানো পর্ব শুরু
কেউ কেউ পরলো ধরা, কেউবা মারা পরলো
দেশের মাঝে তখন এক চরম উৎকন্ঠা।
সর্ব ঠিক হবে তবুও আমরা পেলাম ২৪ শের স্বাধীনতা।