নাটকের ভবিষ্যৎ তিন কাণ্ডারি

অনলাইন ডেস্ক :

নাট্যাঙ্গনে শিল্পী সংকট বিষয়টি নিয়ে নিয়মিতই আলোচনা হয় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে শিল্পী সংকট নেই। প্রতিভাবান তরুণদের সুযোগ দেওয়া হয় না বলেই সবার কাছে মনে হয় শিল্পী সংকটে ভুগছে নাট্যাঙ্গন। টিভি চ্যানেল কিংবা প্রতিষ্ঠিত অনলাইন বিনোদন প্ল্যাটফরমগুলোও প্রতিষ্ঠিত তারকা অভিনয়শিল্পীদের দিয়ে নির্মিত নাটক প্রচারে বেশি জোর দেয়। এ কারণে নবীন অভিনয়শিল্পীদের প্রতিষ্ঠা পাওয়া খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা ছাড়া ঘুরে ফিরে নাটকে একই মুখের উপস্থিতি কারণে দর্শকরাও বিরক্ত। এ ছাড়া তারকা অভিনয়শিল্পীদের দিয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাজ করিয়ে নেওয়ার কারণেও তাদের অভিনয়ের মান বজায় থাকছে না। এতে ইন্ডাস্ট্রিতে তৈরি হচ্ছে সংকট।

গত এক বছরে যেসব নাটক আলোচিত হয়েছে, তার মধ্যে নবীন অভিনয়শিল্পীদের অভিনীত নাটকই বেশি। এতে করে বেশ কয়েকজন নতুন অভিনয়শিল্পীর আগমন ঘটছে নাট্যাঙ্গনে। বিশেষ করে নাটকের নায়িকা সংকটের তথাকথিত ধারণা পালটে দিচ্ছেন এক ঝাঁক নবীন অভিনেত্রী। তাদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন কয়েকজন। এদেরই একজন কেয়া পায়েল। করোনা প্রকোপের অল্প সময় আগে নাটকে অভিনয় শুরু করেন এ অভিনেত্রী। অধ্যবসায়ী হওয়ার কারণে শুরুতেই নাট্যবোদ্ধা থেকে শুরু করে দর্শক ও নির্মাতাদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হন তিনি।

যার কারণে আলোচনায় আসার পরপরই খ্যাতিমান তারকাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করার সুযোগ পান কেয়া পায়েল। বর্তমানে তিনি নাটকের শীর্ষ নায়কদের বিপরীতে হরহামেশাই অভিনয় করছেন। তার অভিনীত নাটক প্রশংসিতও হচ্ছে। সময়ের পরিক্রমায় পরিণত হওয়ার পথেই এগিয়ে যাচ্ছেন এ অভিনেত্রী। নিজের কাজ প্রসঙ্গে কেয়া পায়েল বলেন, ‘আমি শুধু সাবলীল অভিনয়ের চেষ্টাটাই করে যাচ্ছি। যার জন্য আমাকে অনেক কিছুই খেয়াল রেখে কাজ করতে হচ্ছে। তবে অভিনয় হচ্ছে বিশাল সমুদ্রের মতো। সবার শুভ কামনা থাকলে নিশ্চয়ই এ বন্ধুর পথ সহজেই অতিক্রম করতে পারব।

সমসাময়িক আরেক নবীন অভিনেত্রীর নাম সারিকা সাবাহ। তিনি মূলত মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের পরিচালনায় ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ নামের একটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে আলোচনায় জায়গা করে নেন। নাটকটিতে ‘ঝুমুর’ নামের শারীরিক প্রতিবন্ধী এক মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয় কাড়েন সারিকা সাবাহ। বর্তমানে একখণ্ড ও ধারাবাহিক এ দুই ফরমেটেই অভিনয় করছেন তিনি। নিজের অভিনয় ক্যারিয়ার প্রসঙ্গে সারিকা সাবাহ বলেন, ‘অনেকটা শখের বশেই অভিনয় শুরু করেছি। দর্শক যে আমার অভিনয় এত পছন্দ করবে তা বুঝতে পারিনি। তবে এখন আমি পেশাদার অভিনেত্রী হিসাবেই কাজ করছি। দর্শক যতদিন আমার অভিনয় পছন্দ করবেন ঠিক ততদিনই অভিনয় করে যাব।’

২০১৪ সালে মিডিয়ায় অভিষেক হলেও ২০২১ সালে অভিনেত্রী হিসাবে পথচলা শুরু হয় সামিরা খান মাহীর। গত নয় মাসেই তিনি অল্প কিছু নাটকে অভিনয় করে ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন। অনলাইনকেন্দ্রিক নাটকগুলোতে তার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। আগামী ঈদের কয়েকটি নাটকেও তাকে অভিনয়ে দেখা যাবে। নিজের অভিনয় জীবন প্রসঙ্গে সামিরা খান মাহী বলেন, ‘অল্প সময়ের এত মানুষের প্রশংসা ও উৎসাহ পাব তা কখনো ভাবিনি। অভিনয়টাই মনোযোগ দিয়ে করতে চাই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *