দেশের সবচেয়ে ‘সুদর্শন পুরুষ’ প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন অ্যাডলফ খান
বিনোদন ডেস্কঃ বাংলাদেশের সেরা ‘সুদর্শন পুরুষ’ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়েছে কোরিওগ্রাফার অ্যাডলফ খানের বেশ কয়েকটি ছবি। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। পেশা একজন কোরিওগ্রাফার হলেও স্টাইলিশ পোশাক আর সাজসজ্জার কারণে অন্যদের চেযে সহজেই আলাদা করা যায় তাকে। সহজে তাই সবার নজরেও পড়েন ফ্যাশন সচেতন এ তরুণ। যে কারণে সম্প্রতি ‘সেরা স্টাইলিশ ফ্যাশন ডিরেক্টর’ হিসেবে অ্যাওয়ার্ড জিতে নেন অ্যাডলফ। কিন্তু এ অ্যাওয়ার্ড ‘সুদর্শন পুরুষের অ্যাওয়ার্ড’ বলে ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে তর্ক-বিতর্কও শুরু করেছেন নেটিজেনরা। যাতে রীতিমতো বিরক্ত অ্যাডলফ। সোমবার (২৮ জুলাই) ক্ষোভ প্রকাশ করে অ্যাডলফ ফেসবুকে লেখেন, আমি একজন শিক্ষিত, সচেতন, স্পষ্টভাষী মানুষ! আমি কখনো কোথাও বলিনি ‘আমি দেশের সবচেয়ে সুদর্শন’। তবে হ্যাঁ, আমি আল্লাহ প্রদত্ত বিশেষ মেধা সম্পন্ন একজন। অ্যাডলফ আরও লেখেন, আল্লাহ আমাকে জ্ঞান, বুদ্ধি, ব্যক্তিত্ব, সরলতা, উদারতা, অন্যকে সম্মান ভালোবাসা দেয়ার ক্ষমতা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন! আমাকে নিয়ে তর্ক বিতর্ক না করে, মাথা খাটিয়ে ভাবুন, আমি কখনো কোথাও এমন কোনো কথা বলতে পারি কিনা! এ কোরিওগ্রাফার লেখেন, কখনো কেউ বলতে পারবে না , মুখে হাসি ছাড়া আমি কারো সাথে কথা বলেছি, ভালোবাসা না ছড়িয়ে বিদায় নিয়েছি! আপনারা নিশ্চয়ই কম বেশি আমার সাক্ষাৎকারের সাথে পরিচিত। আমাকে ‘সেরা স্টাইলিশ ফ্যাশন ডিরেক্টর’ হিসেবে অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়েছে, কোনো সুন্দর প্রতিযোগিতার ‘সেরা সুদর্শন’ হিসেবে নয়!
প্রশ্ন উত্থাপন করে অ্যাডলফ লেখেন, আমি বরাবর ব্যতিক্রম, সবার মতো নই, কারো মতো হব না বলেই শুধুমাত্র অ্যাডলফ খানই হতে চেয়েছি! যারা ভুল সংবাদ ছড়ালেন, আমার বাবার অসুস্থতার সময় আমাকে বিব্রত-বিরক্ত করলেন, জোর করে আমাকে ট্রেন্ডিংয়ে আনলেন, তারা আসলে কী চেয়েছিলেন? উপকার নাকি অপকার? বিবেক, ক্ষমা- এই শব্দ দুইটির সাথে নিশ্চয়ই আপনারা পরিচিত! প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে র্যাম্প মডেল হিসেবে মিডিয়াতে কাজ শুরু করেন অ্যাডলফ খান। বতর্মানে র্যাম্প মডেল হিসেবে কাজের পাশাপাশি সিনেমায় স্টাইল ডিজাইনার হিসেবেও কাজ করছেন তিনি।