ট্রাফিক পুলিশ ম্যাসে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪

অনলাইন ডেস্ক :

নোয়াখালীতে বাস ভাড়ার টাকা দেওয়ার কথা বলে ট্রাফিক পুলিশের ম্যাসে নিয়ে এক তরুণীকে (২৩) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানাধীন সদর ট্রাফিক পুলিশ ম্যাসের বাবুর্চি আবুল কালামের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নির্যাতিত তরুণীর মা বাদী হয়ে এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে প্রধান আসামি করে চার জনের বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ বৃস্পতিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

আসামিরা হচ্ছেন- নোয়াখালী সদর ট্রাফিক পুলিশ সদস্য ও  ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মাদলা গ্রামের আবদুল ওহাবের ছেলে মকবুল হোসেন (৩২), নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মৃত আমান উল্যার ছেলে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক কামরুল (২৫), নোয়াখালী সদর উপজেলার দাদপুর গ্রামের মোফিজ উল্যার ছেলে আবদুল মান্নান (৩৯) এবং বেগমগঞ্জ উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে নুর হোসেন প্রকাশ কালু। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মকবুল হোসেন ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছেন।

সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মিজানুর রহমান পাঠান সমকালকে জানান, গ্রেপ্তার ৪ আসামিকে শুক্রবার বিকেলে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে ১নং আমলী আদালতের বিচারাক নূরজাহান বেগমের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানী শেষে আদালাত চার আসামিকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহেদ উদ্দিন বলেন, মামলার চার আসামিকেই গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্য কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *